বিশ্বের ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে এল ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিব। অন্যদিকে জীবনযাপনের ব্যয় সবচেয়ে কম হয় সিরিয়ার দামেস্কে।
জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে লন্ডনভিত্তিক ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এতে বলা হয়, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির কারণে বিশ্বব্যাপী জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় অন্যান্য শহরকে পেছনে ফেলে তেল আবিব সবার ওপরে উঠে এসেছে। দ্বিতীয় স্থানে যৌথভাবে রয়েছে সিঙ্গাপুর সিটি ও ফ্রান্সের প্যারিস। আর জীবনযাপনের ব্যয় সবচেয়ে কম সিরিয়ার দামেস্কে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে বিশ্বের ১৭৩টি শহরের পণ্য এবং সেবার মূল্যমানের ভিত্তিতে ব্যয়বহুল শহরের এই তালিকা তৈরি করেছে ইআইইউ।
ডলারের বিপরীতে ইসরাইলের মুদ্রা শেকেলের মূল্য কমে যাওয়ার সঙ্গে পরিবহনের খরচ বৃদ্ধি ও মুদিদোকানে পাওয়া যায়—এমন দ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় শীর্ষ ওঠে তেল আবিব।
গত বছর ইআইইউর তালিকায় যৌথভাবে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল তিন শহর ছিল প্যারিস, জুরিখ ও হংকং।
এ বছর তালিকায় যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে আছে প্যারিস ও সিঙ্গাপুর। এরপর রয়েছে চীনের আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকং ও সুইজারল্যান্ডের জুরিখ।
ইআইইউর তালিকায় নিউইয়র্কের অবস্থান ষষ্ঠ। সুইজারল্যান্ডের আরেক শহর জেনেভা সপ্তম স্থানে রয়েছে। এরপর শীর্ষ দশে থাকা অন্য শহরগুলো হলো যথাক্রমে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন, যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস ও জাপানের ওসাকা।
চলতি বছর বিশ্বের ১৭৩টি শহরের গত আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে এই তালিকা তৈরি করেছে ইআইইউ। এতে দেখা গেছে, ওই সময়ে বিশ্বজুড়ে জাহাজে পরিবহনকৃত পণ্য ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য-সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্থানীয় মুদ্রায় গড়ে সাড়ে ৩ শতাংশ দাম বেড়েছে পণ্যসামগ্রীর। এর ফলে গত পাঁচ বছরের মধ্যে দ্রুততম মুদ্রাস্ফীতির হারের রেকর্ড হয়েছে।
ব্যয়বহুল শরের তালিকায় অবস্থান এগিয়েছে ইরানের রাজধানী শহর তেহরান। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার কারণে খরচ বেড়ে যাওয়া ও পণ্যের ঘাটতি দেখা দেওয়ায় শহরটিতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে।
এ কারণে একলাফে ৫০ ধাপ এগিয়ে ২৯তম অবস্থানে উঠে এসেছে তেহরান। গত বছর ২৭ ধাপ এগিয়ে ৭৯তম অবস্থানে উঠে এসেছিল এই শহর।
Array