• আজকের পত্রিকা
  • ই-পেপার
  • আর্কাইভ
  • কনভার্টার
  • অ্যাপস
  • শহিদ সিরাজ লেকে 

     dhepa 
    04th Aug 2021 8:43 am  |  অনলাইন সংস্করণ

    ১৯৪০ সালে সিলেটের সুনামগঞ্জের ছাতকে নির্মাণ করা হয় আসাম বাংলা সিমেন্ট ফ্যাক্টরি। ভারতের মেঘালয় পাহাড় থেকে চুনাপাথর সংগ্রহ করে এর চাহিদা মেটানো হতো।

    ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর বিভিন্ন সমস্যা ও ব্যয় বৃদ্ধির কারণে ভারত থেকে চুনাপাথর সংগ্রহ বন্ধ হয়ে পড়লে সিমেন্ট ফ্যাক্টরিটি চালু রাখতে তাহিরপুর সীমান্তের টেকেরঘাটে এলাকার ৩২৭ একর ভূমির উপর জরিপ চালিয়ে ১৯৬০ সালে চুনাপাথরের সন্ধান পায় বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ।

    সন্ধানের পর ১৯৬৬ সালে থেকে খনিজ প্রকল্প চালু করে মাইনিংয়ের মাধ্যমে দীর্ঘদিন পাথর উত্তোলন করা হয় এই লেক থেকে। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে প্রকল্পটি লোকসানি প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

    এরপর থেকে পড়ে থাকে টেকেরঘাট চুনাপথরের পরিত্যক্ত খনির লাইমস্টোন লেক। নীল রঙের পানি থাকায় এই লেক কে নীলাদ্রি লেক বলে থাকে। এই লেকের প্রকৃত নাম শহিদ সিরাজ লেক। অবশ্য স্থানীয় লোকজন একে টেকেরঘাট পাথর কোয়ারি নামে চেনে।

    কথাগুলো বলছিলেন আমার অফিসের সহকর্মী মুসা ভাই। মঙ্গলবার থাকায় অফিসে কিছুটা কাজের চাপ কম, তাই কথা হচ্ছিল আসছে সপ্তাহে নতুন কোথায় যাওয়া যায়। মুসা ভাই কথা শুনে মনে মনে ঠিক করে ফেললেন আসছে সপ্তাহে মিশন হবে নীলাদ্রি লেক। সপ্তাহান্তে সেই কাঙ্ক্ষিত দিনটি এলো- মানে শুক্রবার। পূর্বপরিকল্পনা মতো সকাল হতেই তৈরি হয়ে নিলাম।

    ফোন দিলাম মুসা ভাইকে আমি তৈরি হয়ে গেছি কোথায় আসতে হবে। উনি বললেন, নীলাদ্রি লেকে যেতে হলে প্রথমে আমাদের যেতে হবে সুনামগঞ্জ শহরে; সেখানে থেকে বাকি পথ মোটরসাইকেলে। আপনি তাহলে চৌহাট্টা আসেন সেখান থেকে সুনামগঞ্জ যাওয়ার পরিবহন পাওয়া যাবে। কথামতো আমি উপস্থিত হলাম চৌহাট্টায়। অপেক্ষা করতে লাগলাম মুসা ভাইয়ের জন্য। অল্প সময়ের মাঝে মুসা ভাই এসে উপস্থিত।

    আমরা চার চাকার যানে করে রওনা দিলাম সুনামগঞ্জে। দিবার প্রথম প্রহর তাই সূর্যদেবের প্রভা এতটা পড়ে নাই মহাসড়কে। আম্বরখানা মদিনা মার্কেট পেরিয়ে আমরা চললাম এগিয়ে। শীতের শেষ বর্ষার শুরু তাই গাছে গাছে নতুন পাতা ডানা মেলেছে।

    দুই ঘণ্টার মধ্যে আমরা এসে পৌঁছলাম সুনামগঞ্জ শহরে। সেই কখন বের হয়েছি তাই পেটে কোন দানাপানি ডোড় নাই। সাইনবোর্ডবিহীন একটা হোটেলে সকালের নাস্তা করে নিলাম। মন খুব ভালো লাগছিল; আর কিছু সময়ের মধ্যে হয়তো আমরা পৌঁছে যাব আমাদের গন্তব্যে। গন্তব্যে পৌঁছানোর আনন্দে জল ঢেলে দিয়ে মুসা ভাই জানালেন, ধুলোমাখা পথে এক ঘণ্টার একটা মোটরসাইকেল জার্নি তখনো বাকি আছে। কী আর করা?

    গাড়ি থেকে নেমে রিকশায় উঠলাম। যাব এমএ খান সেতুতে। ওখানে ভাড়ায় মোটরসাইকেল পাওয়া যায়। সেতুর পথে যাওয়ার সময় দেখা মিলল সুনামগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়। এখানে মোটরবাইকের পাশাপাশি সিএনজিও পাওয়া যায়। প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য ভালোভাবে দেখার সুযোগ নষ্ট করতে চাইলাম না।

    আমাদের পাইলট, থুক্কু মোটরসাইকেল চালকের নাম দেলোয়ার। বেশ স্মার্ট ছেলে, চোখে সানগ্লাস। প্রথমদিকে কিছুক্ষণ পরপর ছবি তোলার জন্য তাকে থামাতে হচ্ছিল। ভাবলাম বিরক্ত হচ্ছে। ছবি তোলার চিন্তা বাদ দিলাম। খানিক পর দেলোয়ার নিজে থেকেই বলে বসল- ‘ভাইজান, এইটা তোলেন, ভাইজান ওইটা তোলেন।’ আবার শুরু হলো ছবি তোলা। আর তা চলেছিল পুরো যাত্রাপথেই।

    Array
    We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

    আর্কাইভ

    November 2024
    M T W T F S S
     123
    45678910
    11121314151617
    18192021222324
    252627282930