• আজকের পত্রিকা
  • ই-পেপার
  • আর্কাইভ
  • কনভার্টার
  • অ্যাপস
  • রমজানের সুঘ্রাণ থাকুক বছরজুড়ে 

     dhepa 
    04th Aug 2021 7:31 am  |  অনলাইন সংস্করণ

    মুত্তাকি হওয়ার বার্তা নিয়ে এসেছিল রমজান। তাই রমজানের চাঁদ উঠার সঙ্গে সঙ্গেই চারদিকে এক অন্যরকম শুদ্ধতা ছড়িয়ে ছিল। সর্বত্র তাকওয়ার শীতল বাতাস বইতে শুরু করেছিল। মসজিদগুলো ভরে উঠেছিল মুসল্লিদের ইবাদত-বন্দেগিতে। ধুলোজমা কুরআনে লেগেছিল রোজাদারের পবিত্র হাতের ছোঁয়া। ঐশী সুরে মুখরিত হয়েছিল আমাদের যাপিত জীবনের পরিবেশ।

    গত বছরের মতো এবারও একটু অন্যরকম পরিবেশে করোনাকে সঙ্গে করে আমরা রোজা পালন করেছি এবং মহামহিম আল্লাহর কাছে এ দুর্বহ বোঝা তুলে নেওয়ার জন্য ফরিয়াদ করেছি বারবার। এভাবেই একটি মাস তাকওয়ার চর্চা করে আমরা শাওয়ালের ১ তারিখে ঈদ উদযাপন করেছি। কিন্তু আফসোস! শাওয়ালের চাঁদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তি ও সমাজজীবন থেকে যেভাবে আমরা তাকওয়ার পোশাক খুলে ফেলি, তা দেখে রীতিমতো বিস্মিত হতে হয়।

    এক মাসের সংযম আমরা একটি দিনও ধরে রাখতে পারলাম না। ঈদের দিন থেকেই যেভাবে ধর্মকর্ম ছেড়ে অশ্লীলতা, বিজাতীয় সংস্কৃতিচর্চায় আমরা মেতে উঠেছি। তাতে এ কথা সুস্পষ্ট প্রতিয়মান হয়, রোজা আমাদের জীবন ও সমাজে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। তাহলে কি আমাদের জন্যই রাসূল (সা.) বলেছিলেন, ‘এমনও বহু রোজাদার আছে, যারা রোজার বিনিময় ক্ষুৎপিপাসার কষ্ট ছাড়া আর কিছুই পায় না।’

    প্রিয় পাঠক!

    রোজা তো কোনো জাদুবিদ্যা নয়, এক মাস না খেয়ে থাকলেই আপনি মুত্তাকি হয়ে যাবেন। রোজা হলো একটি প্রশিক্ষণ কোর্স। চর্চার বিষয়। একমাস সিয়ামব্রত পালন করে আমরা যে তাকওয়া-খোদাভীতি, সংযম, সহানুভূতি ও আত্মত্যাগের শিক্ষা অর্জন করেছি সেই অনুযায়ী জীবন পরিচালিত করতে পারলেই আমরা সফলতার মুখ দেখতে পারব। পাব আল্লাহর সন্তুষ্টি। দুনিয়া ও আখিরাতের প্রকৃত সুখ।

    মনে করুন, আপনি ১ মাসের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়ে গেলেন। এ ১ মাস ডাক্তারের পরামর্শের বাইরে এক মুহূর্তও চলার কোনো সুযোগ ছিল না আপনার। সারাক্ষণ চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে ছিলেন। আগে আপনার অনেক বাজে অভ্যাস ছিল। ধূমপান করতেন বা মাদক নিতেন ইত্যাদি। এই এক মাসের নিবিড় পরিচর্যায় ডাক্তার আপনার পুরোনো সব বদঅভ্যাস বদলে দিয়েছেন। আপনার ফুসফুস, হার্ট, দেহযন্ত্র ঠিকভাবে কাজ করতে শুরু করেছে।

    এখন ডাক্তার বলল, এবার আপনি বাড়ি যেতে পারেন। তবে হাসপাতালে যে নিয়মে চলেছেন, বাড়ি গিয়েও কিন্তু একই নিয়মে চলতে হবে। এখন কি আপনি বলতে পারবেন, এক মাস হাসপাতালে থেকেছি, এখন আর চিকিৎসকের পরামর্শ না মানলেও চলবে? বরং হাসপাতালের নিয়ম তো আপনি অনুসরণ করবেনই, অতিরিক্ত আরও সতর্ক হয়ে জীবনযাপন করতে দেখা যাবে আপনাকে।

    প্রিয় পাঠক! পাপ যখন আমাদের মনকে অসুস্থ করে ফেলে, আত্মার সজীবতা যখন আমরা হারিয়ে ফেলি, তখন মহান চিকিৎসক আল্লাহতায়ালা এক মাসের নিবিড় পরিচর্যার কোর্স মাহে রমজান আমাদের দান করেন। এ কোর্সের মাধ্যমে আমাদের আত্মা আলোকিত হয়। মনে আল্লাহর ভয় জাগে।

    দুনিয়া ছেড়ে আখিরাতের জীবনের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিতে থাকি। তো আল্লাহর দেওয়া এক মাসের নিবিড় পরিচর্যা আমরা শেষ করেছি। এখন আমাদের উচিত, বাকি ১১টি মাসও রমজানের মতোই শুদ্ধ জীবনের চর্চা করা। মসজিদগুলোকে ইবাদত বন্দেগিতে মুখরিত রাখা। হাটে-বাজারে, ঘরে-বাইরে সবখানে তাকওয়া প্রতিষ্ঠা করা।

    যদি আমরা এটা করতে পারি, তাহলে বুঝব, আমাদের রোজা আল্লাহপাক দয়া করে কবুল করেছেন। তাই আসুন! আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত রমজানের প্রশিক্ষণের আলোকে সাজাই। আল্লাহতায়ালাই একমাত্র তাওফিকদাতা।

    লেখক : চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মুফাসসির সোসাইটি, পীর সাহেব, আউলিয়ানগর

    www.selimayadi.com

    Array
    We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

    আর্কাইভ

    July 2025
    M T W T F S S
     123456
    78910111213
    14151617181920
    21222324252627
    28293031